Wednesday, June 26, 2019

উদ্যোক্তা হবার জন্য ৭টা স্কিলস খুবই জরুরী - Iqbal Bahar

প্রয়োজনে ভিডিওতে ২বার ক্লিক করুন:

Source: https://www.facebook.com/Iqbalbahar28/

নীচের ভিডিও ২টিও দেখুন প্লিজ:

Friday, June 14, 2019

সফল স্টার্টআপ গড়ার ২০ টি কার্যকরী টিপস।


তরুণ উদ্যোক্তাদের সিংহভাগই প্রচন্ড উদ্যম নিয়ে স্টার্টআপ শুরু করেন। তারপর কিছুদিনের মধ্যেই বেলুনের সূক্ষ্ম গোপন ছিদ্র দিয়ে সব প্রেরণা উড়ে গিয়ে চুপসে যান। সমস্ত পুঁজি খুইয়ে প্রচন্ড হতাশা নিয়ে পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসেন। অধিকাংশ তরুণ উদ্যোক্তার প্রথম স্টার্টআপের দশা এমনই হয়। সময়ের সাথে নিজেকে তৈরী করুন আত্মবিশ্বাসী, ধৈর্য্যশীল, উদ্যোমী, আর পরিশ্রমী হিসেবে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক সফল স্টার্টআপ গড়ার ২০ টি কার্যকরী টিপস।

১. আপনার স্টার্টআপ কি ধরণের? স্টার্টআপ সম্পর্কে আপনার কি কোন ধারণা আছে এবং কয়টি স্টার্টআপ আপনি চিনেন?

২. নেটওয়ার্ক তৈরি করুন আপনার কাজের সম্পর্কিত মানুষের। আপনার স্টার্টআপ ঘরনার কমিউনিটিতে যান। স্টার্টআপ কেন্দ্রিক সেমিনার, ওয়ার্কশপ এবং ইভেন্টে অংশগ্রহণ করুন।

স্টার্টআপ ব্যর্থ হওয়ার ২১ টি কারণ


স্টার্টআপ সারা বিশ্বে গত কয়েক বছর ধরে আলোচিত শব্দ নতুন ব্যবসা ও উদ্যোগে। কিন্তু স্টার্টআপ এর সফলতার পাশাপাশিও রয়েছে ব্যর্থতা । আর ব্যর্থতা মানে বুঝেন ? আপনার স্বপ্নের একটি মৃত্যু । যে স্বপ্নটি আপনি অনেকদিন ধরে নিজের মাঝে বেড়ে তুলেছেন কিন্তু তার সঠিক বাস্তবায়ন আপনি করতে পারেননি । কেন এমন হলো ?


২০০৮ সালের সফল স্টার্টআপ ‘Airbnb’ এখনো আলোচনার তুঙ্গে । অথচ এর প্রতিষ্ঠারা যখন খুব ব্যর্থ ব্যক্তিজীবনে ঠিক তখনই তাদের এই সফল স্টার্টআপ এর গল্প শুরু হয়। ২০০৭ সালের কথা, যখন এর সহ প্রতিষ্ঠাতা Brian Chesky এবং Joe Gebbia নিউইয়র্ক থেকে সানফ্রানসিসকো’তে আসেন । খুব হতাশ তারা তখন , তাদের জব নেই এবং তাদের কিছু আয়-রোজগার দরকার নতুন জায়গায় ভালোভাবে থাকার জন্যে। সেই সময়ে শহরের সকল হোটেলগুলো একটা কনফারেন্স এর জন্যে সব বুকিং এবং তাদের জীবনে নতুন স্টার্টআপ এর সুযোগ সেভাবেই আসলো । কিছু Air Bed তারা কিনলো এবং সকালের নাস্তার সুযোগ-সুবিধা দিয়ে তারা শুরু করলো তাদের নতুন উদ্যোগ ‘Airbnb’ । প্রতি রাতে ৮০ ডলারের বিনিময়ে অতিথিদের থাকার সুযোগ করে দিয়ে শুরু তাদের এই আলোচিত স্টার্টআপ।

আমরা অনেকে বলি সময়টা ভালো যায়নি তাই কোম্পানি ঠিক মত ব্যবসা করতে পারেনি । বিষয়টা হয়ত তাই ! কিন্তু অন্যরকম আরেকটি বিশ্লেষণও আছে এর পাশাপাশি । সেটা কি ? সেই অন্যরকম বিশ্লেষণে অনেকগুলো অংশ চলে আসে আলোচনা করতে গেলে ।

একটা স্টার্টআপে শুরুতে আসলে কত সময় প্রয়োজন সেটা বুঝা মুশকিল । কখন আসলে শুরু করবেন এবং কখন করবেননা সেটাও আপনার ওপর নির্ভর করছে।

গত কয়েক বছরে দেশ – বিদেশের ২১ টি ব্যর্থ স্টার্টআপ এর বিষয়ে জানতে গিয়ে যে বিষয়গুলো বারবার মনে এসেছে তা হচ্ছে , কেনো একসময়ের সফল ‘স্টার্টআপ’ ইয়াহু বিশ্বের প্রভাবশালী তথ্যপ্রযুক্তির প্রতিষ্ঠান হয়েও একসময় ব্যর্থ হয়ে পরে । কি ছিল কারণ ? যেখানে সার্চ ইঞ্জিন ‘গুগল’ পারলো তাদের সাথে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে এবং ‘ইয়াহু’ শুধুই এখন অতীত । সময়োচিত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি একসময়ের জায়ান্ট ‘ইয়াহু’ । তাই সবার শীর্ষে থেকেও আজ ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানের কাতারে এসেছে । তাই সফল স্টার্টআপ হলেই কোন প্রতিষ্ঠানের চিন্তা কমে যাবে এবং সময়োচিত সিদ্ধান্ত নিবেন না তাহলেই খুব বেশি ভুল করবেন।

‘গুগল’ কেনো এখন সফল ? গুগল এর বেশকিছু সফল সেবা এখন অনেক আলোচিত । আপনি কি ভাবতে পারবেন ‘গুগল’ এর সেই সেবাগুলো ছাড়া আপনার জীবনের একদিন ? জিমেইল,এডসেন্স,এডওয়ার্ড,গুগল ড্রাইভ এর কথা না বললেই হয়না । আর ‘গুগল’ এর সার্চ ইঞ্জিন , সেটাতো এক বিস্ময় সার্ভিস গুগলের । আরও আছে ইউটিউব ভিডিও শেয়ারিং এর সাইট। গুগলের এত এত সফল কার্যক্রম কিন্তু ‘গুগল প্লাস’ কিন্তু সফল হয়নি এখনো। এর কারণটা আপনাদের ওপরই ছেড়ে দিলাম । কেনো এটা এত আলোচিত হয়েও গুগলের অন্য সার্ভিসগুলোর মতন হয়ে উঠতে পারেনি।

কেনো অনেক স্টার্টআপ ব্যর্থ হয় ?

স্টার্টআপ ব্যর্থ হওয়ার ২১ টি কারণ

১। ব্যবসা আপনি আসলে কাদের জন্যে করবেন ? সেবাটি কাদের জন্যে তা কি ভালোভাবে বের করতে পেরেছেন ? আপনার ক্রেতা বা সেবা গ্রহণকারী আসলে কারা হবে ? এই বিষয়গুলোতে সঠিক ধারণা না থাকা।

২। বাজারে এই ব্যবসা করলে খুব ভালো হবে ভাবছেন ? আপনার বন্ধু আপনাকে এই প্রোডাক্ট সাপ্লাই দিতে পারবে । আপনার আরেক আত্বীয় আপনাকে কম দামে আরেকটি প্রোডাক্ট দিবে । তাহলে অন্য প্রতিযোগীদের থেকেও আপনি কম দামে প্রোডাক্ট আপনার কাস্টমাদের কাছে বিক্রি করতে পারবেন এবং অনেক লাভ করতে পারবেন। যদি আপনার মাঝে এই চিন্তাগুলো থাকে । তাহলে থামেন ! পৃথিবীর ব্যর্থ স্টার্টআপগুলোর অন্যতম কারণ এগুলোই । আপনি মানতে চান আর না চান । অল্পকিছু সফলতার গল্প দিয়ে বাস্তবতা মেনে নেয়া ঠিক না ।

Thursday, June 13, 2019

স্টার্টআপগুলোতে ক্যাপিটাল যোগান: অন্ট্রপ্রণারদের জন্য ভাল সংবাদ।



বাংলাদেশের বাজেটের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মত শুধুমাত্র স্টার্টআপগুলোতে ক্যাপিটাল যোগান দেবার জন্য জন্য ২০১৯-২০২০ সালের বাজেটে ১০০ কোটি টাকার মত ফান্ড রাখা হয়েছে।
অন্ট্রপ্রণারদের জন্য ভাল সংবাদ।

Monday, June 10, 2019

ডিজিটাল উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য সহায়ক কিছু ইউটিউব চ্যানেল, ফেইসবুক পেইজ ও ওয়েবসাইট এড্রেস


Youtube:
১) Digital Uddokta - উদ্যোক্তা,     ২) Uddokta/ উদ্যোক্তা
৩) কৃষি উদ্যোক্তা,                        ৪) Grameen Telecom Trust
৫) Any bd ,                                  ৬)  Uddokta Channel i
৭)  Krishi Tv,                              ৮) Shykh Seraj


Website: 
১) https://uddoktabarta.com,              ২) http://uddoktaporibar.com
৩) http://digitaluddokta.com,               ৪) http://euddokta.com
৫) http://dcms.e-service.gov.bd,       ৬) https://it-uddokta.com.bd,
৭) http://bduddokta.net                      ৮) http://eksheba.gov.bd
৯)  http://realuddokta.com/home/      ১০)  https://uddokta.xyz/
১১) www.storrea.com   ১২) www.uddoktarkhoje.com


Facebook:

১) উদ্যোক্তা,       ২) চলুন ব্যবসা করি উদ্যোক্তা সংগঠন
৩) উদ্যোক্তা হও - Be Entrepreneur    ৪) উদ্যোক্তা ব্যবসা বাজার
৫)  Youth Career Institute    ৬) ADN Digital ৭) Center of Digital Marketing - CDM ৭) Storrea  ৮) Center of Digital Marketing -CDM

ডিজিটাল মার্কেটিং প্রশিক্ষণ নেয়ার জন্য নিম্নোক্ত প্রতিষ্ঠানেঅেথবা ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করুন:
১) http://training.geekysocial.com

GEEKY Social is a social and digital media marketing agency in Bangladesh, specializes in providing maximum benefits to its clientele from social media investment through unique and engaging contents. We are helping brands to connect with consumers using social media marketing tools.

House # 62 (4th floor), Road # 3, Block-B, Niketon, Gulshan - 1, Dhaka - 121201708-871793 contact@geekysocial.com

২)
http://bitm.org.bd/

ADDRESS: 

For Dhaka Division:
BASIS Institute of Technology & Management (BITM)
BDBL Bhaban (3rd Floor - East), 12 Kawran Bazar, Dhaka -1215.
Contact Number: +8809612342486 Ext: 209-211 (from 9:30am – 5:00 pm)
Email address: info@bitm.org.bdFor 

Chittagong Division:
BASIS Institute of Technology & Management (BITM)
R.I Tower (4th Floor), 23/A M M Ali Road, Golpahar Circle (Beside Evergreen Health Center), Mehedibag, Chittagong.
Contact Number: +8809612342486 Ext: 220 (from 9:30am – 5:00 pm)
Email address: info@bitm.org.bd

CONTACT
BITM, Cell: +8809612342486, Email: info@bitm.org.bd

৩) https://mycpatraining.com
Monowar shipon: 
Contact: 01764608434

৪) Lazuk.Net
Address: House-14 Road-12 Shekhertek Mohammadpur, Dhaka 1207, Phone: 01711-946847

Wednesday, June 5, 2019

মাত্র ১৬ টাকা থেকে যেভাবে আজকের আকিজ গ্রুপ

শেখ আকিজ উদ্দীন ও তার ফ্যাক্টরি

খুলনার ফুলতলা থানার মধ্যডাঙ্গা গ্রামে ১৯২৯ সালে জন্ম নেন শেখ আকিজ উদ্দীন। শৈশব কেটেছে কঠিন দারিদ্র্যের মধ্যে। মাত্র ১৬ টাকা পুঁজি নিয়ে ১৩ বছর বয়সে গলায় ঝুড়ি ঝুলিয়ে কমলালেবুর ফেরিওয়ালা হিসেবে ব্যবসা শুরু।
এরপর ১৯৫২ সালে বিড়ির ব্যবসার মধ্য দিয়ে ব্যবসার গতি-প্রকৃতি একেবারে জাদুর মতো বদলে যেতে থাকে।

পরবর্তী সময়ে যে ব্যবসায় হাত দিয়েছেন, সেখানেই সাফল্য পেয়েছেন তিনি। একে একে তিনি দেশের উল্লেখযোগ্য ২৩টি শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠা করে ব্যবসার জাদুকরে পরিণত হন। এতক্ষণ বলছিলাম আকিজ গ্রুপ ও আদ্-দ্বীনের প্রতিষ্ঠাতা শেখ আকিজ উদ্দীন জীবনের গল্প।

স্বপ্ন দেখতেন দারিদ্র্যকে জয় করে একদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়াবেন। কিন্তু জীবনসংগ্রামের শুরুতে পদে পদে বাধার মুখে পড়েন। সেই বাধা পেরোতে শেখ আকিজ উদ্দীনের সম্বল ছিল সাহস, সততা আর কঠোর পরিশ্রম। এই তিনটি জিনিসকে পুঁজি করেই শুরু হয় উদ্যোক্তা আকিজ উদ্দীনের উত্থান পর্ব। তিনি দেশের উন্নয়ন ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে লাখো মানুষের নিয়োগকর্তা হিসেবে ইতিহাসে নাম লেখান। কিভাবে শুরু হলো তার উত্থান।

ব্যবসা শুরুর পদে পদে বাধা :

আকিজ উদ্দীনের বাবা শেখ মফিজ উদ্দিন ছিলেন ক্ষুদ্র ব্যবসয়ী। তিনি খুলনার ফুলতলা থানার মধ্যডাঙ্গা গ্রামে ফল ও ফসলের মৌসুমি ব্যবসা করতেন। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে মা-বাবার একমাত্র সন্তান হয়েও আকিজ লেখাপড়া করার সুযোগ পাননি। তিনি খুব কাছ থেকে দারিদ্র্য দেখেছেন। আর গভীরভাবে বাবার ব্যবসা পর্যবেক্ষণ করেছেন। স্বপ্ন দেখেছেন।

কিন্তু স্বপ্নের কোনো কিনারা করতে না পেরে ১৯৪২ সালে মাত্র ১৬ টাকা হাতে নিয়ে জীবিকার সন্ধানে কিশোর শেখ আকিজ উদ্দিন খুলনার মধ্যডাঙ্গা গ্রাম থেকে বের হন। ট্রেনে চেপে তিনি কলকাতায় যান। কলকাতার শিয়ালদহ রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে তিনি রাত কাটাতেন। ওখানেই পাইকারি বাজার থেকে কমলালেবু কিনে ফেরি করে বিক্রি করেছেন। কিছু দিন কমলালেবুর ব্যবসা করার পর তিনি একটি ভ্রাম্যমাণ দোকান দেন।

কিন্তু একদিন পুলিশ অবৈধভাবে দোকান দেওয়ার অভিযোগে তাকে ধরে নিয়ে যায়। কয়েক দিন জেল খেটে মুক্ত হয়ে আকিজ উদ্দিন উদ্ভ্রান্তের মতো কলকাতা শহর ঘুরেছেন। কলকাতায় তার সঙ্গে পাকিস্তানের পেশোয়ারের এক ফল ব্যবসায়ীর পরিচয় হয়। আকিজ ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে পেশোয়ারে গিয়ে ফলের ব্যবসা শুরু করেন। দুই বছর ব্যবসা করে তার পুঁজি দাঁড়ায় ১০ হাজার টাকা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আকিজ বাড়ি ফিরে আসেন।

উত্থানের গল্প:

Tuesday, May 14, 2019

তিনটি মোটিভেশনাল ভিডিও: বাংলাদেশের আবুল কালাম আজাদ, ফেসবুকের মার্ক জুকারবার্গ ও স্টিভ জবস

হেরে যাবো বলে তো স্বপ্ন দেখিনি - বাংলাদেশের সিআইপি (কমার্শিয়াল ইমপর্টেন্ট পারসন), শূণ্য থেকে কোটিপতি, আজাদ প্রোডাক্টের মালিক আবুল কালাম আজাদ। 
(একবার ক্লিক করে ভিডিও চালু না হলে ২য় বার ক্লিক করুন)

মার্ক জুকারবার্গের দৃষ্টান্ত ফলো করুন - নিজের স্বপ্নের উপর আস্থা রাখুন

Steve Jobs Inspirational Lecture

Saturday, May 4, 2019

Storrea: অনলাইন ব্যবসা সম্পর্কিত প্রচলিত ইংরেজী শব্দ/টার্ম গুলোর একটি পূর্ণাঙ্গ বাংলা ডিরেক্টরি



ই-কমার্স (ইলেক্ট্রনিক কমার্স) মানে প্রচলিত যে কোন ব্যবসারই অনলাইন বা ডিজিটাল সংস্করণ। এক্ষেত্রে পণ্য প্রদর্শন, বিপণন, বিক্রির প্রক্রিয়াটি অনলাইনে বা ডিজিটালি সম্পাদিত হয়। স্বাভাবিকভাবেই তাই ই-কমার্সে আগ্রহী হলে ব্যবসা সম্পর্কিত নূন্যতম অনলাইন/ডিজিটাল জ্ঞাণ বা ব্যাসিক না থাকলেই নয়।

আমরা যে কোন ব্যবসার পুরো প্রক্রিয়াটিকে ছয়টি প্রধান ভাগে ভাগ করে চেষ্টা করেছি অনলাইন ব্যবসা সম্পর্কিত প্রচলিত ইংরেজী শব্দ/টার্ম গুলোর একটি পূর্ণাঙ্গ বাংলা ডিরেক্টরি তৈরি করতে যেন অনলাইন ব্যবসায়ীদের, বিশেষ করে নতুন ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের প্রাথমিক একটি প্রস্তুতি নিতে সুবিধা হয়। পূর্ণাঙ্গ অনলাইন বিজনেস এনসাইক্লোপিডিয়াটি পড়ুন #StorreaBlog থেকে।


বাংলায় পড়ুন এখানে 👉 Storrea Bangla


Source: Facebook page: https://www.facebook.com/mystorrea/

Friday, May 3, 2019

www.self-shopping.com: পণ্য আপনার, বিক্রি করে দেবো আমরা।


#পণ্য আপনার, বিক্রি করে দেবো আমরা।

আপনি কি অনলাইনে বিক্রি বাড়াতে চান?
আপনি যদি একজন পাইকারি বিক্রেতা, আমদানিকারক, বাজারজাতকারক কিংবা সরাসরি পণ্যের উৎপাদক হয়ে থাকেন, তবে পোস্টটি আপানার জন্য।

#সেল্ফ_শপিং এ রয়েছে ৩০ হাজারেরও অধিক নিবন্ধিত বিক্রয় প্রতিনিধি। এবং হাজার হাজার ক্রেতা সাধারণ।

আপনার পণ্য বিক্রি করুন আমাদের মাধ্যমে। আমাদের সাইটে আপনার 
পণ্য আপলোড করুন আর প্রতিদিন বুঝে নিন শত শত অর্ডার।

#আপনার_যদি_থাকেঃ
মোবাইল 
মোবাইল এক্সোসরিজ
কম্পিউটার
কম্পিউটার এক্সোসরিজ
ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য 
বিভিন্ন আকর্ষণীয় ইলেক্ট্রনিক গেজেট
ফ্যাশন পণ্য
জুয়েলারি
পারফিউম
গিফট আইটেম
শুকনো খাবার জাত পণ্য
আসবাবপত্র
পোশাক
চামড়াজাত পণ্য, ইত্যাদি।

তবে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। 
০১৬৪৫ ৬৭ ৩০ ৬৬
https://www.self-shopping.com

Facebook page: Self-shopping Online Limited

Thursday, May 2, 2019

Creative Fashion: ক্রিয়েটিভ হিজাবের জন্য চমতকার ডিজাইনের মাল্টিফাংশনাল খিমার সেট অর্ডার করুন!


পেইজে লাইক দিয়ে স্ক্রীনশট নিয়ে আমাদের পেইজে ইনবক্স করে অর্ডার করুন যেকোন হিজাব আর জিতে নিন ২০০/- মূল্যছাড়!
ক্রিয়েটিভ হিজাবের জন্য চমতকার ডিজাইনের মাল্টিফাংশনাল খিমার সেট অর্ডার করুন!
➡ অর্ডার দিতে এখনই কল করুন হেল্পলাইনে:
☎ 01401159922

যেকোন অভিযোগে কল করুন:
☎01972642643

ভিশন: গুণগত মাণে সন্তুষ্ট করা।
মিশন: অনলাইনে কেনাকাটা করার ভয় দূর করে যেকোন হিজাব অর্ডার করে সঠিক সময়ে ডেলিভারির নিশ্চয়তা।

কাপড়ের কোয়ালিটি দেখে আপনি আমাদের পেইজে ৫* রিভিউ ও অন্যকে আমাদের পণ্যের কোয়ালিটি শেয়ার করবেন সে ব্যাপারে আমরা সু-নিশ্চিত।

ফুল সেটের দামঃ
বিএমডব্লিউ ইন্দোনেশিয়া ফেব্রিক্স ফুল সেট (খিমার ও স্কার্ট): ২৮০০/- টাকা
নিদা দুবাই ফেব্রিক্স ফুল সেট (খিমার ও স্কার্ট): ৩০০০/- টাকা।
এখানে উপরের হিজাব ও নিচের স্কার্টসহ একত্রে ফুল সেটের দাম বলা হয়েছে।

শুধু হিজাবের মূল্য:
বিএমডব্লিউ ইন্দোনেশিয়া ফেব্রিক্স খিমার হিজাব: ১৬০০/- টাকা।
নিদা দুবাই ফেব্রিক্স খিমার হিজাব : ১৮০০/- টাকা।
এখানে শুধু হিজাব তথা উপরের পার্টের আলাদা দাম বলা হয়েছে।

কালারঃ
নেভি ব্লু, কালো, এ্যাশ, গোল্ডেন, বটল গ্রীন, পারপেল ও মেহেদী পাতা কালারসহ আপনার পছন্দের যেকোন কালারের খিমার অর্ডার করতে পারবেন।
বি:দ্র: আপনার পছন্দের কালার/ডিজাইনের খিমার অর্ডার নেয়া হয়। সেক্ষেত্রে আপনাকে কিছু টাকা এডভান্স করতে হবে ও ৫-৭ দিন সময় দিতে হবে।
লেংথঃ ফ্রি সাইজ.

খিমার ব্যবহার করে যেমন ক্রিয়েটিভ হতে পারবেন সাথে সাথে সহীহ পর্দা মেনে ইসলামিক বিধান পালন করতে পারবেন।
পণ্যের গুণগত মাণ নিয়ে আমরা একান্ত প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

বিস্তারিতঃ
খিমার হলো হিজাবের নাম এটি আমাদের মডেল পরিধান করে দেখিয়েছেন, এটি বোরকা,স্কার্ট যেকোন পরিধেয় এর উপরে ব্যবহার যোগ্য হিজাব।

মডেলের পরিহিত নিচের অংশের নাম স্কার্ট।
এই স্কার্ট ও খিমার হিজাব একত্রে হয়েছে ফুল সেট।
আপনি চাইলে স্কার্ট সহ ফুল সেট নিতে পারবেন অথবা শুধু হিজাব খিমার নিতে পারবেন।

বোরকার উপরের এই অংশের নাম খিমার।
সম্পূর্ণ প্যাকেজ সেটে পাবেন খিমার ও স্কার্ট।
আপনার হিজাবের লুক গরজিয়াস যেমন হবে তেমন ইসলাম ধর্মের পর্দার বিধান মানতে সহজ করে দেবে।
এটি আপনাকে জুমার নামাজ, ঈদের নামাজ, ইসলামিক অনুষ্ঠান, বিয়ে, জন্মদিন তথা সকল পরিবেশে আপনাকে যেমন স্টাইলিশ করবে তেমনি হিজাব ও রক্ষা করবে।
এটি আপনার প্রিয়জনকে গিফট করলে তিনি পর্দায় থাকলে যেমন সওয়াবের অধিকারী হবেন তেমনই প্রিয়জনের খুশীর কারনও হবেন😍।

বি:দ্র: মডেলের সঠিক হিজাবের বিধান রক্ষার্থে মুখে নিকাব পরিধান করানো হয়েছে যেটি খিমার হিজাবের কোন অংশ নয়।

➡পণ্য পৌঁছানোর মাধ্যম:
★ঢাকার ভিতরে হোম ডেলিভারী চার্জ ১০০ টাকা
বি:দ্র: ঢাকায় যারা থাকেন তারা আমাদের সাথে কথা বলে আমাদের দোকানে এসে পণ্য নিতে পারবেন।
★ঢাকার বাহিরে আপনার নিকটস্থ যেকোনো কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বাংলাদেশের যে কোন প্রান্তে পণ্য পৌঁছে দেয়া হয় ক্যাশ অন ডেলিভারি পদ্ধতিতে চার্জ ১৫০ টাকা

➡বি:দ্র: যেসব এলাকায় কুরিয়ারে কন্ডিশন নেই সেই এলাকায় পণ্য পেতে হলে বিকাশে এডভান্স সম্পূর্ণ টাকা পেমেন্ট করতে হবে।
বিকাশ মার্চেন্ট: 01972642643
রেফারেন্স: আপনার নাম।
কাউন্টার: ০১

Facebook page: Creative Fashion

Facebook Marketing: Course Details



Module 1Introduction to Facebook Marketing
Module 2Facebook Pages, Posts Best Practices
Module 3Facebook Boosting & Insights
Module 4Targeting Audiences from Ad Manager
Module 5Facebook Ads Policies
Module 6Facebook Shop
Module 7Facebook Ads: Impactful Creative
Module 8Generating Leads with Facebook
Module 9Facebook Ads: Campaign Objectives
Module 10Brand Awareness Campaign through Facebook
Module 11Drive in Store Foot Falls & Local Sales
Module 12Facebook Messenger
Module 13Facebook Pixel
Module 14Website Traffic Campaign
Module 15Optimization & Reporting

Thursday, April 25, 2019

উদ্যোগ আইডিয়া আছে, কিন্তু টাকা পাব কোথায়?

ব্যবসা করার জন্য অর্থ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেটি হোক প্রাথমিক মূলধন কিংবা ব্যবসা চালিয়ে নেওয়ার অর্থ। দীর্ঘ মেয়াদে ব্যক্তিগত মূলধন কখনোই পর্যাপ্ত নয়। তবে কী পরিমাণ অর্থ ঋণ হিসেবে গ্রহণ করা হবে এবং সেগুলোর উৎস কী হবে, তা নির্ভর করে ব্যবসার পরিধি এবং ধরনের ওপর। স্টার্টআপের শুরুতে একজন উদ্যোক্তা কীভাবে অর্থসংস্থান করতে পারেন? কয়েকটি উপায় জানাচ্ছেন মো. রাশেদুর রহমান ও জুবেলী খানম।

বুটস্ট্র্যাপিং বা আত্ম-অর্থসংস্থান

একটি স্টার্টআপ শুরু করার জন্য ব্যক্তির কিছু সঞ্চয় থাকা জরুরি, যা দিয়ে প্রাথমিকভাবে ছোট করে কাজটা শুরু করা যায়। নিজের জমানো টাকা কিংবা আত্মীয় ও বন্ধুবান্ধবের থেকে নেওয়া অর্থ দিয়ে কাজ শুরু করাটাকে বুটস্ট্র্যাপিং বলা হয়। তবে মনে রাখতে হবে, বড় ধরনের কোনো ব্যবসার জন্য এই ধরনের উৎস একমাত্র ভরসার জায়গা হতে পারে না। এগুলো ছোট ছোট উদ্যোগে বেশ ভালো কাজে আসে। ছোট ছোট উদ্যোগগুলো পরবর্তী সময়ে অনেক বড় হলেও প্রাথমিকভাবে খুব বেশি টাকাপয়সার দরকার হয় না। আজকের সফল উদ্যোক্তাদের দিকে তাকালে দেখবেন, অনেকেই খুব অল্প মূলধন দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন। ১ মাসের বেতনের মাত্র ১৫ হাজার টাকাকে পুঁজি করে ব্যবসা শুরু করেছিলেন আজকের সুপরিচিত অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী।


ক্রাউড ফান্ডিং

প্রযুক্তির উন্নয়নের সুবাদে সামাজিক এই প্ল্যাটফর্ম ধীরে ধীরে বেশ সফলভাবে গড়ে উঠছে। এই প্ল্যাটফর্মে একজন উদ্যোক্তা শুরুতে তাঁর ভাবনা বা চ্যালেঞ্জগুলো একদল ব্যক্তি বা বিনিয়োগকারীর সামনে উপস্থাপন করেন। কেউ যদি আগ্রহী হন, তিনি আইডিয়াটিকে বাস্তবে রূপদান করতে টাকা দিতে পারেন। এভাবে এক বা একাধিক মানুষের দেওয়া টাকায় গড়ে ওঠে একটি ব্যবসা। বাংলাদেশে অপরাজয় ডট ওআরজি (oporajoy.org) নামে একটি ক্রাউড ফান্ডিংয়ের প্ল্যাটফর্ম আছে।

এই প্রক্রিয়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এতে যেমন অর্থের জোগান হয়, তেমনি বিনা খরচায় এই উদ্যোগ বা উদ্যোক্তার একটা প্রচারণাও হয়ে যায়, ফলে সাধারণ মানুষ এ সম্পর্কে জানতে পারে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো, এই প্ল্যাটফর্ম অনেক বেশি প্রতিযোগিতাপূর্ণ। তাই যথেষ্ট ভালো ‘আইডিয়া’ নিয়েই আপনাকে ক্রাউড ফান্ডিংয়ের দ্বারস্থ হতে হবে।

২০১৪ সালে ২০০ কোটি ডলারের বিনিময়ে ফেসবুক যে অকুলাস নামে একটি প্রতিষ্ঠান কিনে নিল, সেটিও ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল।

এঞ্জেল ইনভেস্টরস

আপনি হয়তো মাথায় দুর্দান্ত একটা আইডিয়া নিয়ে বসে আছেন। আর গালে হাত দিয়ে ভাবছেন, যদি কোনো বিনিয়োগকারী আমার এই ব্যবসার জন্য বিনিয়োগ করতেন! ভাবনাটা কিন্তু একেবারে আকাশকুসুম নয়। এমন অনেক বিনিয়োগকারী আছেন, যাঁরা বড় অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত। তাঁদের বলা হচ্ছে ‘এঞ্জেল ইনভেস্টর’। এই ধরনের বিনিয়োগের সংস্কৃতি বাংলাদেশে ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে। এমন সুবিধা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শহরকেন্দ্রিক। এই ধরনের বিনিয়োগকারী বেশ ধনী হয়ে থাকেন, যাঁরা মূলত নতুন নতুন উদ্যোক্তার আইডিয়াগুলোতে বিনিয়োগ করতে চান। অনেক ধরনের আইডিয়ার মধ্য থেকে সবচেয়ে জুতসই উদ্যোগটিতে বিনিয়োগ করার জন্য খুব সূক্ষ্মভাবে সেটিকে বিচার–বিশ্লেষণ করা হয়। এঞ্জেল ইনভেস্টররা এককভাবে থাকতে পারেন, অথবা একটা দল হয়েও বিনিয়োগ করতে পারেন। বাংলাদেশে গত ৪ অক্টোবর বাংলাদেশ এঞ্জেলসের উদ্বোধন হয়েছে। উদ্যোক্তা কিংবা বিনিয়োগকারীরা ফান্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন এই লিংকের মাধ্যমে: www.bdangels.com

এঞ্জেল ইনভেস্টরসদের অবদানে বা অর্থায়নে একটি স্টার্টআপ ঠিক কত বড় আর সফল হতে পারে, তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ আমাজন ডটকম, স্টারবাকস ও অ্যাপল। এই প্রতিষ্ঠানগুলো খুব ছোট আকারেই শুরু হয়েছিল। তহবিলের অভাবে যখন ঠিকভাবে ব্যবসা করা সম্ভব হচ্ছিল না, তখন এঞ্জেল ইনভেস্টরসদের মাধ্যমেই এগুলো নিজেদের ব্যবসার সম্প্রসারণ করে।

ভেঞ্চার ক্যাপিটাল

বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে এখনো ব্যবসায় ঋণের জন্য মানুষের মূল ভরসার জায়গা বিভিন্ন ব্যাংক। সব সময় যে ঋণ গ্রহণের জন্য ব্যাংক একটি ভালো সিদ্ধান্ত, বিষয়টা এমন নয়। কারণ, আমাদের দেশে ব্যাংকগুলো মূলত পরিচিত গ্রাহকদের সঙ্গেই চুক্তিতে যেতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। তা ছাড়া ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে আগের বছরগুলোর আয়-ব্যয়, জামানত, পূর্বপরিচিতি, কোম্পানির কোনো পরিচালকের গ্যারান্টি ইত্যাদি খুঁজে থাকে। এসব একটি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসার পক্ষে গেলেও একদম শূন্য থেকে শুরু করা একজন উদ্যোক্তার পক্ষে থাকে না। এ ক্ষেত্রে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল সবচেয়ে উত্তম সিদ্ধান্ত। নতুন একটি ব্যবসায়িক আইডিয়া যেখানে ঝুঁকিতে পরিপূর্ণ, সেখানে ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট প্রতিষ্ঠান ঝুঁকি গ্রহণ করতে আগ্রহী থাকে। বাংলাদেশে বর্তমানে ১১টির বেশি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনসহ পুরোদমে উদ্যোগের ক্ষেত্রে অর্থায়নের কাজ করে যাচ্ছে। নতুন উদ্যোক্তাদের উচিত হবে, ব্যবসায় অর্থসংস্থানের জন্য ভেঞ্চার ক্যাপিটালের জোগান নিশ্চিত করা।

ভেঞ্চার ক্যাপিটাল দিয়ে বিশ্বের সেরা প্রতিষ্ঠানগুলো আজকের পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ, স্ন্যাপ ডট ইনক, কিং ডিজিটাল এন্টারটেইনমেন্ট, যা ক্যানডি ক্রাশ সাগা গেইমটি তৈরি করেছে—এরা সবাই ভেঞ্চার ক্যাপিটালের মাধ্যমেই নিজেদের ব্যবসায় অর্থসংস্থান করেছে।

বিজনেস ইনকিউবেটর

একটি অপরিণত শিশুকে পরিপূর্ণতা দিতে তাকে যেমন ইনকিউবেটরে রাখা হয়, ব্যবসার ক্ষেত্রেও ইনকিউবেটরের ধারণা প্রচলিত আছে। তরুণ উদ্যোক্তাদের ব্যবসাকে সফল করার জন্য বিভিন্ন ‘বিজনেস ইনকিউবেটররা’ এগিয়ে আসছে। আমাদের দেশে ধীরে হলেও এই সংস্কৃতি বেশ ভালোভাবেই গড়ে উঠছে। বাংলাদেশ সরকার একটি উদ্যোক্তাবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য এ ধরনের ‘ইনকিউবেশন’ প্রকল্পগুলোর প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টারের টেন’স ৩৬০ নামক একটি ইনকিউবেটর প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাফি মিজান খান চৌধুরী তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, একটা সময় টাকার অভাবে তাঁরা একটি ব্যবসায় এগোতে পারছিলেন না। অবশেষে ব্র্যাক বিজনেস ইনকিউবেশনের (বিআইসি) একটি ব্যবসায়িক ভাবনা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নিজেদের প্রমাণ করে তাঁরা সফল হয়েছেন। ইনকিউবেশনে আসার সুযোগ পাওয়ার মাধ্যমে তাঁরা একটি অফিস, প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা এবং ৫০ হাজার টাকা পেয়েছিলেন পুঁজি হিসেবে। ইনকিউবেশনের এই সাহায্যগুলোর মাধ্যমে তিনি পরবর্তী সময়ে একজন সফল উদ্যোক্তা হয়েছেন এবং তাঁর দল এখন অন্যদের সহায়তার জন্য কাজ করছে।

বাংলাদেশে ব্যবসাসহায়ক প্ল্যাটফর্ম ওয়াইওয়াই গোষ্ঠী এখন ইনকিউবেশনে খুব ভালোভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তারা পুঁজির ব্যবস্থা করার পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ, পরামর্শ, কাজের জায়গা এবং ব্যবসায় উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন সহায়তা যেমন মার্কেটিং ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দিচ্ছে।

তা ছাড়া স্টার্টআপ বাংলাদেশের আইডিয়া প্রজেক্টের মাধ্যমেও নতুন নতুন উদ্যোক্তার জন্য অর্থায়ন, মেন্টরশিপ, কাজের জায়গা ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হয়। অ্যাডমিশন নিনজা, অ্যাপ বাজার, বিউটিফুল বরিশাল, হ্যালো লন্ড্রি ইত্যাদি স্টার্টআপ আইসিটি ডিভিশনের এই প্রকল্পের মাধ্যমেই বিকশিত হয়েছে।

বিভিন্ন প্রতিযোগিতা থেকে পুরস্কারপ্রাপ্ত অর্থ

নতুন নতুন আইডিয়া উপস্থাপনের প্রতিযোগিতা নিয়মিতই হচ্ছে। এ ধরনের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মূলত অসাধারণ উদ্যোগগুলোকে বের করে আনার চেষ্টা করা হয়। প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ আইডিয়াগুলোর জন্য যে ‘প্রাইজমানি’ দেওয়া হয়, তা নেহাতই কম নয়। একজন উদ্যোক্তার জন্য এ ধরনের পুরস্কারপ্রাপ্ত অর্থ ব্যবসা শুরু করতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে খুব বড় পরিসরে এই ধরনের আয়োজন হয়। মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় স্টার্টআপ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ২০১৭ সালে ১১টি স্টার্টআপকে ৩৭ হাজার ৫০০ ডলারের অর্থায়ন করা হয়। এর মাধ্যমে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচিতি এবং কাজের ব্যাপ্তি অনেক বেড়ে গিয়েছে। এশিয়া অঞ্চলের জন্য ফাউন্ডারস ভ্যালি কনটেস্টের মাধ্যমেও নতুন এবং চলমান স্টার্টআপে অর্থসংস্থান করা হয়।

ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান

বাংলাদেশের চলমান সংস্কৃতিতে ব্যবসার ঋণের জন্য উদ্যোক্তাদের প্রথম আকর্ষণের জায়গা হলো ব্যাংক। প্রতিষ্ঠিত কিংবা নতুন উভয় ধরনের ব্যবসার জন্যই বাংলাদেশের প্রায় সব ব্যাংকে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা আছে। এসএমই ফাউন্ডেশন বর্তমানে ৩টি ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে। তা ছাড়া অন্যান্য ব্যাংক নিজেদের নিয়মকানুনের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মনীতিকে বিবেচনায় রেখে বিভিন্ন খাতের জন্য ঋণের ব্যবস্থা করেছে। একজন উদ্যোক্তাকে বুঝতে হবে, তাঁর উদ্যোগটি যে খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত সেটির জন্য কোন ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করা উচিত।

● আইডিএলসি স্টার্টআপ লোন: ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত, সময়: ৫ বছর।

● বিনা জামানতে কর্মসংস্থান ব্যাংকের ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে। টাকার পরিমাণ আরও বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গৃহীত হচ্ছে।

● মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ‘স্মল বিজনেস লোন’ সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত কোনো কোলেটারালের প্রয়োজন হয় না। সময়সীমা ৫ বছর, তবে এই ঋণ পাওয়ার জন্য কমপক্ষে ১ বছর ব্যবসাটির সময়কাল হতে হবে।

● আইএফআইসি প্রান্ত নারী (উইমেন এন্ট্রাপ্রেনিউর লোন): তৃণমূল পর্যায়ের নারী উদ্যোক্তাদের দ্বারা ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পের জন্য এই ঋণ প্রদান করা হয়। মূলত জামদানি, নকশিকাঁথা, বুটিক, বিভিন্ন হ্যান্ডিক্রাফট, বিউটি পারলার, ক্যাটারিং সার্ভিস ইত্যাদি কাজের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত এবং ব্যাংকের অন্য কোনো আর্থিক সুবিধা যাঁরা পাচ্ছেন না, তাঁদের জন্য এই বিশেষ ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ঋণসুবিধা পাওয়ার জন্য একজন নারী উদ্যোক্তাকে কমপক্ষে ২ বছর সেই ব্যবসাটির সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে। এটি মূলত একটি ‘টার্ম লোন’। ইকুইটি অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ফান্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক: সফটওয়্যার, ফুড প্রসেসিং, অ্যাগ্রো-বেসড ইন্ডাস্ট্রির জন্য।

● আইডিএলসি উদ্ভাবন লোন: সর্বনিম্ন ৫ লাখ, আনসিকিউরড লোন ২৫ লাখ, আংশিক সিকিউরড লোন সর্বোচ্চ ১ কোটি। সর্বনিম্ন ১৩ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৬০ মাস পর্যন্ত এই ঋণের মেয়াদ। যাঁরা বেসিসের সদস্য, তাঁরা এই ঋণ প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার এবং বিশেষ সুবিধা পান। তা ছাড়া ২ বছরের ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা বাধ্যতামূলক তবে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ১ বছরের অভিজ্ঞতাই যথেষ্ট। উদ্যোক্তার বয়স হতে হবে ২০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে।

ক্ষুদ্রঋণ

বাংলাদেশের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এনজিও, যেমন গ্রামীণ ব্যাংক, ব্র্যাক, আশা বাংলাদেশ ইত্যাদি ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পের জন্য ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের আওতায় ঋণ প্রদান করে থাকে। তারা মূলত তৃণমূল পর্যায়ে এমন উদ্যোক্তাদের খুঁজে বের করে, যাঁদের জন্য ক্ষুদ্রঋণই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

স্টার্টআপের জন্য সরকারি প্রকল্প

বিভিন্ন সময় সরকার বিভিন্ন প্রকল্প বা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে চলমান সমস্যা সমাধানের উপায় খোঁজে। তা ছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্টার্টআপের জন্য মূলধন দেওয়ার সুযোগও পাওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে একজন উদ্যোক্তা তাঁর আইডিয়াটি জমা দেন, তারপর কমিটি সেটি বিচার–বিশ্লেষণের পর গ্রহণ করলে তহবিল পাওয়া যায়। স্টার্টআপের অর্থায়নের জন্যে এ ধরনের সরকারি প্রকল্পগুলো প্রোগ্রামগুলো বেশ কার্যকর। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় প্রায়ই এ ধরনের প্রকল্প হাতে নেয়।